ইতিহাস পাল্টানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের

লম্বা সিরিজের শেষ ম্যাচে এসে তালগোল পাকানোর নজির অনেকই আছে বাংলাদেশের। এবার লম্বা সিরিজের সঙ্গে মিলেছে প্রলম্বিত মৌসুম। তাই তালগোল পাকিয়ে ফেলার শঙ্কাও থাকছে। সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস পাল্টানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2015, 10:30 AM
Updated : 29 July 2015, 10:41 AM

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে টাইগারদের ২০১৪-১৫ ক্রিকেট মৌসুম। এমনিতে মার্চ-এপ্রিলে ক্রিকেট মৌসুম শেষ হলেও এবার তা চলে এসেছে জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত। 
 
বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টি-টোয়েন্টি, তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সফর শেষ হবে মিরপুরের ম্যাচ দিয়ে। মুশফিক জানান, এই ম্যাচে শতভাগ মনোযোগ ধরে রাখার দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছেন তারা।
 
“অতীতে এ রকম হয়তো দেখা গেছে, শেষ ম্যাচে আমরা দায়িত্ব থেকে কিছুটা সরে গেছি; কিন্তু এবার আমরা সেটা মাথায় রেখেছি। সবাইকে বলা হয়েছে এটা পাঁচ দিনের খেলা। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির মতো নয়, এখানে পুরো পাঁচ দিন মনোযোগ ধরে রেখে খেলতে হবে। আমাদের সামনে অতীত রেকর্ড উজ্জ্বল করার সুযোগ।”
 
স্বাগতিক অধিনায়ক জানান, শারীরিকভাবে দলের সবাই এখন ফিট আছে। তবে মানসিকভাবে এই ম্যাচ তাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ, বাংলাদেশ দেখাতে চায়, আইসিসি টেস্ট র‍্যাংঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের বিপক্ষে তারা কতটা ভালো খেলতে পারে। 
 
“আমরা এখন এই চাপ হয়তো নিতে পারি। আপনারা দেখেছেন, এর আগে তিনটি ম্যাচ হারার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (ওয়ানডে সিরিজে) আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, সেটা আমাদের মানসিক দৃঢ়তা প্রমাণ করেছে। তারপরও এই টেস্টে চ্যালেঞ্জটা বেশি হবে। আমরা সে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।” 
 
টেস্টেও বাংলাদেশ দলের কাছে প্রত্যাশা এখন বেড়েছে। সেই প্রত্যাশা মেটাতে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে মিরপুর টেস্ট খেলার প্রতিশ্রুতি অধিনায়কের কণ্ঠে, “প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়া একটি দলের উন্নতির লক্ষণ। দলে কিছু ভালো ক্রিকেটার এসেছে, ম্যাচ উইনার এসেছে; তাদের কারণে দলের পারফরম্যান্সও বদলে গেছে।”