‘জয়ের কথা না ভাবার কোনো কারণ নেই’

আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দলের ভাবনায় ছিল কেবল জয়। ম্যাচ যে অবস্থায় ছিল তাতে জয়ের কথা না ভাবার কোনো কারণ দেখেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2015, 12:24 PM
Updated : 25 July 2015, 12:24 PM

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অলআউট করে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার আভাস দেয় বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে আগের আট টেস্টের সব কটিতেই হারে টাইগাররা, যার সাতটি ছিল ইনিংস ব্যবধানে।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৬ রান করে নেয় ৭৮ রানের লিড। অতিথিদের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ ছিল একই মাঠে করা ২৫৯ রান। পৌনে একশ’ রানের লিড অধিনায়কের স্বপ্নের পরিধি বাড়িয়ে দেয় জয় পর্যন্ত।

“এটা না ভাবার তো কোনো কারণ নেই। শীর্ষ টেস্ট দলের সঙ্গে ৭৮ রানের লিড নেওয়ার পর এমনটা ভাবা খুব স্বাভাবিক।”

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬১ রান করে। বৃষ্টির দাপটে এরপর আর খেলা সম্ভব হয়নি। শনিবার পঞ্চম দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, খেলা হলে ড্র না হয়ে অন্য ফলও সম্ভব ছিল।

“হয়তো আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ঘণ্টায় বোলিং খুব বেশি ভালো হয়নি, যেটা প্রথম ইনিংসে হয়েছিল। আমরা যদি ২-১ উইকেট তুলে নিতে পারতাম সেক্ষেত্রে চাপটা পুরোপুরি ওদের উপরই থাকত। তারপরও ৬১ রান করেও যে তারা চাপে ছিল না, তা কিন্তু নয়। সবাই জানেন, দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে পড়লে কি করতে পারে।”

চাপে পড়লে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ ধসে যেতে পারত, যা হয়েছে প্রথম ইনিংসের ক্ষেত্রে। ১ উইকেটে ১৩৬ রানে পৌঁছে যাওয়া দলটি শেষ ৯ উইকেট হারায় ১১২ রানে। চাপে ফেলে তার পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিল স্বাগতিকরা।

“অবশ্যই এটা (জয়ের ভাবনা) আমাদের মনে ছিল। আর এমন সুযোগ সব সময় আসে না; এটা আমাদের দলের সবাই খুব ভালোভাবেই জানে। আমি যতগুলো টেস্ট খেলেছি এমন ভালো সুযোগ পাওয়া হয়ে উঠেনি। আমরা খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম, যদি আমাদের স্কিলটা আরও ভালো করতে পারি, তাহলে ফলটা আমাদের পক্ষে আনতে পারব।”

আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সেই ম্যাচের জন্য চট্টগ্রাম থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকরা।

“প্রত্যেকটা সিরিজ শুরু হওয়ার আগে তাদের সঙ্গে আমাদের অতীতের পারফরম্যান্স কি তার পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাটাঘাটি হয়। এটা আসলে ম্যাচগুলোতে কখনই প্রভাব ফেলে না। ১০ বছর আগে আমরা কি ছিলাম, আর বর্তমান ফর্ম আর বর্তমান দল ভিন্ন বিষয়।”