টেস্টের মুস্তাফিজকে নিয়ে অধিনায়কের উচ্ছ্বাস

নিজেদের ক্রিকেটকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে বাংলাদেশ যাদের দিকে তাকিয়ে আছে তাদের এক জন হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই তরুণ পেসারে বাংলাদেশের পেস বোলিং সমস্যার সমাধান দেখছেন অনেকে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও বিশ্বাস, ওয়ানডের মতো টেস্টেও সাফল্য পাবেন মুস্তাফিজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2015, 12:03 PM
Updated : 25 July 2015, 12:03 PM

ওয়ানডেতে দুর্দান্ত অভিষেকের পর টেস্টেও মুস্তাফিজকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এখনই মুস্তাফিজকে টেস্টের আঙ্গিনায় ঠেলে দেওয়া নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন, সংশয় ছিল। তবে নিজের প্রথম টেস্টেই সব শঙ্কাকে পেছনে ফেলেন এই তরুণ।

ওয়ানডের মতো টেস্ট অভিষেকেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা মুস্তাফিজকে নিয়ে নিজের আশার কথা জানান মুশফিক, “ও খুব দ্রুত শিখতে পারে। ও বুঝে গেছে যে টেস্টে উইকেট পেতে হলে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে, চাপ তৈরি করতে হবে। আমি আশা করি, এভাবে খেলতে থাকলে ও ওয়ানডের মত টেস্টেও সাফল্য পাবে।” 

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেনে গড়া পেস আক্রমণে বাড়তি শক্তি যোগ করেছেন মুস্তফিজ। টেস্টে চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। মাশরাফি কয়েক বছর ধরে টেস্ট খেলেন না। চোটের কারণে নিয়মিত নন রুবেল হোসেনও। তরুণ তাসকিন এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নন টেস্টের জন্য।

চোটের কারণে নিয়মিত নন রবিউল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আবুল হাসান। ছন্দ হারিয়ে দলের বাইরে আছেন আল-আমিন হোসেন। পেসার শাহাদাত হোসেন দলে নিয়মিত নন, তিনিও চোটের কারণে দলের বাইরে আছেন।

তাই পেস বোলিং নিয়ে বেশ ভালো সমস্যাই পোহাতে হয় টেস্ট অধিনায়ক মুশফিককে। পরিশ্রমী মোহাম্মদ শহীদ তাকে নির্ভরতা যোগাচ্ছেন। কিন্তু স্থায়ী সমাধান পেতে মরিয়া হয়ে আছেন তিনি। প্রথম টেস্টে সমাধানের কিছুটা ইঙ্গিত পেয়েছেও স্বাগতিকরা।

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে অলআউট করায় বড় অবদান রয়েছে মুস্তাফিজের। ৩৭ রানে চার উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। মুশফিক জানান, প্রথম ম্যাচেই মুস্তাফিজ টেস্টের চ্যালেঞ্জ বুঝতে পেরেছেন।

“ও নিজেও বলেছে, টেস্টের সঙ্গে তুলনা করলে ওয়ানডেতে উইকেট পাওয়া খানিকটা সহজ। উইকেটে যদি সহায়তা না থাকে তাহলে টেস্টে উইকেট বের করা খুব কঠিন হয়ে যায়। ওর প্রধান অস্ত্র কাটারও টেস্টে ব্যাটসম্যানরা সহজে সামলাচ্ছে, এটা ও নিজেও বুঝতে পেরেছে।”

মুস্তাফিজের দাপটের পর ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মুস্তাফিজ ভালো বোলিং করায় প্রত্যাশা ক্রমশ বাড়ছে। অধিনায়ক এ নিয়ে অবশ্য সতর্ক।

“আমার মনে হয় না, ওয়ানডে বা টেস্টের প্রতি ম্যাচে ৫/৬টা উইকেট পাবে। পেলে তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যে খুবই ভালো হবে।”