প্রথম দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল ভালো। ১ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু লাঞ্চের পর বদলে যায় চিত্র। দুই পাশ থেকে দারুণ বোলিং করেন জুবায়ের হোসেন ও মোহাম্মদ শহীদ। বিশেষ করে শহীদ নিঁখুত লাইন-লেংথে বল করে উইকেটে বেধে রাখেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। এক পর্যায়ে তিনি করেছেন টানা ৫১টি ডট বল! সেই চাপে হাঁসফাঁস করেই পরে আউট হয়েছেন এলগার-দু প্লেসিরা।
এমনিতে বোলিং আক্রমণে শহীদের ভূমিকা এটিই। রান আটকে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা। কিন্ত যেভাবে বোলিং মেশিনের মতো এক জায়গায় বলের পর বল করে গেছেন শহীদ, তাতে চমকে গেছেন তার অধিনায়কও। টেস্ট শেষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানালেন সেই বিস্ময়ের কথা।
“ওর স্পেলটা আমার জন্যও বিস্ময়কর ছিল। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তো বটেই, আমার তো মনে হয় বিশ্বের কোনো বোলারই খুব বেশি পারেনি। এমন ফ্ল্যাট উইকেটে এমন বোলিং কমই দেখেছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী যেভাবে বোলিং করেছে শহীদ, কৃতিত্ব অবশ্যই দিতে হয়।”
এমন বোলিংয়ের পরও অবশ্য উইকেটশূন্য শহীদ। ১৭ ওভারের ৯টিই মেডেন, কিন্তু ৩৪ রান দিয়ে উইকেট পাননি একটিও। তার বলে স্লিপে দুটি ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি ইমরুল কায়েস। বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য ব্যাটের কানা নেয়নি বল।
মুশফিকও বললেন শহীদের সেই দুর্ভাগ্যের কথা।
“উইকেট পেতে পারত। কিন্তু ওর ভাগ্য ভালো ছিল না। আশা করি, হতাশ না হয়ে পরবর্তীতেও এভাবে সুযোগ সৃষ্টি করে যাবে। আর আশা করি, আমরাও তাকে যোগ্য সহায়তা করতে পারব।”