রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি শুরু হলেও সকাল থেকেই উপাচার্য ভবনের সামনে ব্যানার টানিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসা ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ আহ্বায়ক অধ্যাপক সামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য গত এপ্রিলে আমাদের কথা দিয়েছিলেন- দুই মাসের ছুটিতে তিনি পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি।
“এখন তিনি জামায়াত-শিবির ও ভগ্নাংশ, ক্ষুদ্রাংশ শিক্ষকদের দিয়ে ক্যাম্পাস পরিচালনার পাঁয়তারা করছেন। উপাচার্যের এই পরিকল্পনা সফল হবে না। অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ এই উপাচার্যকে পদত্যাগ করতেই হবে।”
উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ ও প্রশাসন পরিচালনায় ‘অযোগ্যতার’ পাশাপাশি নিয়োগে অনিয়ম ও আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবিতে গত ১৩ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছে সরকার সমর্থক ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’।
আন্দোলনের অংশ হিসাবে গত ২০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন ৩৫ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে অধ্যাপক জাফর ইকবালও ছিলেন।
তবে আমিনুল হক ভূইয়া ২৩ এপ্রিল জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে দুমাসের ছুটিতে গেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসের অধীনে সেই ৩৫ জন কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।
গত ২২ জুন ছুটি শেষ হওয়ার আগে হঠাৎ নিজের কার্যালয়ে ফিরে উপাচার্য নতুন প্রক্টরিয়াল কমিটির অনুমোদন দিলে প্রতিবাদে ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এরপর প্রতিদিন উপাচার্যের কার্যালয় অবরুদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
তখন থেকে আর কার্যালয়ে আসেননি উপাচার্য। তবে শিক্ষকদের এই আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তাদের দাবিতে নত না হওয়ার ঘোষণা রয়েছে তার।