রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শিক্ষকদের মিছিল ক্যাম্পাস ঘুরে উপাচার্যের বাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সমাবেশ করে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
সমাবেশে পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, “উপাচার্য আপনি কথা দিয়েও কথা রাখেননি। এখন প্রাসাদ ষড়যন্ত্র করছেন।”
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবির ও ক্ষুদ্রাংশ-ভগ্নাংশ দিয়ে আপনি প্রশাসন চালাতে পারবেন না। আপনি সম্মানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন, নতুবা আরও কঠিন কর্মসূচি আসবে।”
“আমাদের আন্দোলন সরকারে বিরুদ্ধে নয়, একজন অদক্ষ-দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য উপাচর্যের বিরুদ্ধে,” বলেন সরকার সমর্থক এই শিক্ষক নেতা।
পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সামসুল আলম বলেন, “উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা একবিন্দুও সরব না। আমাদের আন্দোলন চলবে, তবে তা হবে শান্তিপূর্ণ।”
তবে আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক আমিনুলকে ‘হীরকরাজা’ আখ্যায়িত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ‘সৎ, যোগ্য, মেধাবী’ উপাচার্য নিয়োগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষক নেতা মো. ফারুক উদ্দিন।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. এমদাদুল হক উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি শিক্ষকদের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার হীন চেষ্টা করছেন। তা কোনোভাবে সফল হবে না।”
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববারও তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের এই আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তাদের দাবিতে নত না হওয়ার ঘোষণা রয়েছে অধ্যাপক আমিনুল হক।