আগের দুই দিনের মতো বুধবার সকালে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদের’ শিক্ষ্ককরা উপাচার্য ভবনের সামনে ব্যানার টানিয়ে অবস্থান নেন।
পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য আমাদের কথা দিয়েছিলেন দুই মাসের ছুটিতে তিনি পদত্যাগ করবেন। উপাচার্যের ছুটি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি।”
উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।”
ছুটির মধ্যে পদত্যাগের বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া তার বাসায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে তার কথা হলেও চূড়ান্তভাবে তিনি কিছু বলেননি।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল দুই মাসের ছুটিতে যান উপাচার্য আমিনুল হক ভূইয়া। তার ছুটি শেষ হয় মঙ্গলবার।
কিন্তু এর আগের দিন হঠাৎ করে তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নতুন প্রোক্টরিয়াল কমিটি অনুমোদন করেন।
ওইদিন বিকাল পর্যন্ত উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
এরপর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও উপাচার্য ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের কর্মীরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের তালা ভেঙে ফেলেন।
আন্দোলন চললেও শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সামসুল।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সকালে ‘মিনি অডিটোরিয়ামে’ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতিসহ পাঁচজন কার্যনির্বাহী সদস্য এবং আন্দোলনরত সরকার সমর্থক শিক্ষকরা এতে যোগ দেননি।
সভা শেষে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন বলেন, সভায় শিক্ষকদেরকে আন্দোলন থেকে সরে আসার আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুপুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়।
তবে আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি, মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ‘দুর্নীতিবাজ’ উপাচার্যের সমর্থনে তারা এই মানববন্ধন করেছে।
শিক্ষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। নেত্রী যতদিন তাকে রাখবেন ছাত্রলীগ ততদিন তাকে সমর্থন দিয়ে যাবে।”