শাবি’র প্রশাসনিক পদ ছাড়লেন আন্দোলনরত ৩৫ শিক্ষক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত ৩৫ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 06:16 AM
Updated : 20 April 2015, 07:16 AM

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুব্ধ শিক্ষক পরিষদের’ সদস্য এই শিক্ষকরা সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য ভবনের সামনে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

পরে পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক শামসুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মস্তাবুর রহমান ও নাজিয়া চৌধুরী সবার পদত্যাগপত্র রেজিস্ট্রার ইশরাকুল হোসেনের কাছে জমা দেন।

গত ১৫ এপ্রিল পরিষদের এক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়াকে পদত্যাগের জন্য রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে পরিষদের শিক্ষকরাও প্রশাসনিক পদে থাকবেন না।

প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগী এই শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের পরিচালক পদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব ছেড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. এমদাদুল হকসহ সাতজন সহকারী প্রক্টরও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।

পদত্যাগীদের মধ্যে আরও রয়েছেন সেন্টার অব এক্সেলেসের পরিচালক মো. ইউনুছ, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, শাহপরাণ হলের প্রাধ্যক্ষ আশরাফুল আলম, চার সহকারী প্রাধ্যক্ষ, প্রথম ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ মারুবা শারমিন চৌধুরী, চার সহকারী প্রাধ্যক্ষ, দ্বিতীয় ছাত্র হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল গণি, চার সহকারী প্রাধ্যক্ষ, বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও একজন সহকারী প্রাধ্যক্ষ, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. ফারুক উদ্দিন ও একজন সহকারী প্রাধ্যক্ষ।

পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মস্তাবুর রহমান বলেন, “বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য কর্তৃক শিক্ষকদের অপমান ও প্রশাসন পরিচালনায় তার অযোগ্যতার কারণে শিক্ষকরা আর তার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না বলে মনে করছেন।” 

‘পুঞ্জীভূত ক্ষোভ’ থেকেই শিক্ষকরা প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।