দেড় মাস আগে বগিভিত্তিক আরেকটি সংগঠন ‘সিএফসি গ্রুপ’র সঙ্গে সংঘর্ষের পর কার্যত ক্যাম্পাসছাড়া ছাত্রলীগের এই অংশের নেতারা বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
১৪ ডিসেম্বরের সংঘর্ষে সিএফসি সমর্থক তাপস সরকার হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের মুখে থাকা ‘ভি এক্স গ্রুপ’র নেতারা বলছেন, তারা ‘ষড়যন্ত্রের স্বীকার’।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “আমরা কোনো ছাত্রলীগ ভাইয়ের বুকে গুলি চালাইনি, আমরা নিরাপরাধ।
“বর্তমানে আমাদের শিক্ষা জীবন হুমকির সম্মুখীন। আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।”
তাপস হত্যার ঘটনায় ৩০ জন এবং হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দেড় মাস কারাভোগের পর ১৫ জন নেতা-কর্মী জামিনে মুক্তি পেলেও আরও ১২ জন কারাগারে রয়েছে।
এই দুটি মামলা ‘মিথ্যা’ অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করেন ‘ভি এক্স’ গ্রুপের নেতারা।
তাপসের নিহত হওয়ার জন্য ‘সিএফসি গ্রুপ’কে দায়ী করেন ফারুক।
“তাপস হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ। মূলত, শাহজালাল হল ও ক্যাম্পাস থেকে আমাদের বিতাড়িত করে শিবিরকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সিএফসি এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভিএক্স গ্রুপ’ নিয়ন্ত্রিত শাহজালাল হলে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট চালানো হয় বলেও ফারুকের দাবি।
“আমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮০টি রুমে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় আমাদের বই-খাতা-সার্টিফিকেট।”
‘সিএফসি গ্রুপ’র কারণে ‘ভি এক্স গ্রুপ’র কেউ ক্যাম্পাসে যেতে পারছেন না অভিযোগ করে ফারুক বলেন, “হঠাৎ বাসস্থান হারানোয় শাহজালাল হলের দেড়শ ছাত্রলীগকর্মী বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।”
হাটহাজারী থানার পুলিশ ‘সিএফসি গ্রুপ’কে মদদ দিচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে ছাত্রলীগের এই অংশ।