অন্য তিনটি দাবি হল-তাপসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক হত্যাকাণ্ডের বিচার, অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন আয়োজন এবং মেধার ভিত্তিতে হলে আসন বিন্যাস।
বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় ছাত্রজোটের নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিকুল তাজিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাগ্রহণ করতে এসে যাতে লাশ হয়ে ফিরতে না হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
“গত ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাপস হত্যার জন্য ছাত্র রাজনীতি নয়, বরং ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসী ও দখলদারি কর্মকাণ্ডই দায়ী।”
“অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ছাত্রদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার’ সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নিষেধাজ্ঞার অজুহাতে ২০১০ সালে বর্ধিত বেতন-ফি বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলন, ২০১৩ সালে ভর্তি ফরমের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রশাসন দমন-পীড়ন চালিয়েছে।”
গত ২১ ডিসেম্বর ২০০৮ ও ২০১২ সালের সিন্ডিকেট বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে উল্লেখ করে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক’ আন্দোলন দমন করার জন্য এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ছাত্রজোট নেতা বিকুল।
মেধার ভিত্তিতে হলে আসন বরাদ্দ করে অবৈধ ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেয়ারও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চবি ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহম্মদ তারেক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ্বাস, ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী, সদস্য কনক বিহারী দাশ।