নীল দলের ফরিদ উদ্দিনের প্রতিবাদ

‘নীল দল প্রার্থী ছিলেন জিয়া চেয়ারের প্রস্তাবক!’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তিনি এমন কোনো প্রস্তাব করেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 02:02 PM
Updated : 18 Dec 2014, 02:02 PM

“এ ধরনের কোনো প্রস্তাবের সঙ্গে আমার ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই,” বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ লিপিতে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দলের সভাপতি প্রার্থী ফরিদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বক্তব্য তুলে ধরে আগের দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

‘ফরিদ উদ্দিন এক সময় প্রচণ্ড আওয়ামী লীগবিরোধী ছিলেন। এমনকি ২০০৫ সালে তিনি অর্থনীতি বিভাগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে চেয়ার চালুর প্রস্তাব করেছিলেন’ বলে ওই শিক্ষকদের বক্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্যাডে পাঠানো ওই পত্রে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, “২০০৫ সালের শুরুতে অর্থনীতি বিভাগে ‘জিয়া চেয়ার’ করার বিষয়ে একটি চিঠি আসে। বিভাগের পক্ষ থেকে এই চেয়ার চালু করা হলে অর্থ যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

“বিষয়টি পরবর্তীতে একাডেমিক কমিটির সভায় ওঠে। কিন্তু শিক্ষকদের আপত্তির মুখে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। আবার ২০০৫ সালের একাডেমিক কমিটির কোনো কার্যবিবরণীতেও বিষয়টির কোনো উল্লেখ নেই।”

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের মার্চ মাসে বিভাগের শিক্ষকদের এক সভায় আলোচিত প্রস্তাবটি ফরিদ উদ্দিন তোলেন বলে সেখানে উপস্থিত একজন সিনিয়র শিক্ষকের বক্তব্য নাকচ করেন শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।

“যে চিঠিটি এসেছিল- তার ওপর আলোচনা হয়েছে মাত্র, প্রস্তাব দেওয়ার মতো কোনো বিষয় ছিল না,” বলেন তিনি।

নীল দলের প্রার্থী হিসেবে গতমাসে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হওয়া ফরিদ উদ্দিন বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে জীবনের শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছি আমি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকতা জীবন শুরু হওয়ার পর থেকে এই কাজে আমার সংশ্লিষ্টতা আরও বেড়েছে।

“সামরিক উর্দী পরা একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যার পরিবারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এমন ব্যক্তির নামে চেয়ার করার বিষয়ে আমার প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি হাস্যকরই মনে হয়েছে।”