বুধবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কলেজ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবারও সকাল আটটা থেকে হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
বুধবার বেলা তিনটার মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দিলেও তারা হল ছাড়েনি।
সন্ধ্যায় কলেজ অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পিংকি চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচি থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
ফল বিপর্যয় নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা না হলে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়বে না বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের জন্য মোট তিনটি হলে প্রায় সাড়ে চারশ শিক্ষার্থী থাকেন।
গত সোমবার কলেজের চার বর্ষের ফল প্রকাশ হয়। প্রতিবারের মতো এবারও ফল খারাপ হয়েছে।
প্রথম বর্ষের ৮৩ জনের মধ্যে ৩০ জন, দ্বিতীয় বর্ষের ৪৩ জনের মধ্যে ৩২ জন, তৃতীয় বর্ষের ৭৯ জনের মধ্যে ৩৬ জন এবং চতুর্থ বর্ষের ৫২ জনের মধ্যে ১৯ জন পাস করেছেন।
ফল ঘোষণার পর ওই দিন বিকালেই কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল গণি গিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমকে মুক্ত করেন।
পরদিন মঙ্গলবার ‘শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা মানছে না’ অভিযোগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।