মেডিকেলে ভর্তি: নিষিদ্ধ মোবাইল-ক্যালকুলেটর-ঘড়ি

‘ডিজিটাল জালিয়াতি’ ঠেকাতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মোবাইল, ক্যালকুলেটর, ব্লু টুথ ডিভাইস ও হাত ঘড়িসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2014, 01:38 PM
Updated : 22 Oct 2014, 01:38 PM

আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠেয় মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষা সামনে রেখে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রণালয়, যার অনুলিপি বুধবার সাংবাদিকদের দেয়া হয়।

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য দেশের ২৩টি কেন্দ্রে  শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় পাস করতে হলে অন্তত ৪০ নম্বর পেতে হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে বসে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সংগ্রহের সময় অনেক শিক্ষার্থী আটক হয়েছেন।

এভাবে জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় হাতঘড়ি সদৃশ মোবাইলে এসএমএসে উত্তর সংগ্রহের বিষয়টি প্রকাশের পর ২০১২ সালে কেন্দ্রে হাত ঘড়ি নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এর আগে এক নির্দেশনায় ২০ অক্টোবর থেকে ভর্তি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব মেডিকেল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, “অভিযোগ রয়েছে যে, কুচক্রীমহল, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজচক্র কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন ব্যবস্থাপনাকে পুঁজি করে মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০% কমন সাজেশন অথবা কোনোভাবে ভর্তি করে দেবে বলে ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।”

এছাড়া পরীক্ষার আগের রাতে যে কোনো ধরনের গুজব প্রতিহত করতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মোট ১০ হাজার ২২৭টি আসনের বিপরীতে এবছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফরম তুলেছেন ৬৯ হাজার ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী।

এবছর দেশের ২৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে তিন হাজার ১৬২ জন, ৫৬টি বেসরকারি মেডিকেলে পাঁচ হাজার ৩২৫ জন, নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে ৫৩২ জন এবং ২৩টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে এক হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।