জাবির সেই অধ্যাপকের চাকরিচ্যুতির আদেশ স্থগিত

অনিয়মের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আকন্দের চাকরিচ্যুতির আদেশ স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2014, 12:49 PM
Updated : 15 Sept 2014, 12:49 PM

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

চাকরিচ্যুতির আদেশের ওপর চার মাসের স্থগিতাদেশ দেয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেছে আদালত।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ওই সময়ের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করলে হাই কোর্টে এসেছিলেন অধ্যাপক আলী। সে সময় হাই কোর্ট সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করলেও চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়।

এই শিক্ষকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ ও নাজনীন নাহার।

নাজনীন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগের রিটের আদেশ স্থগিত করার সময় চেম্বার বিচারপতি বলেছিলেন, এখনো বিষয়টি প্রিম্যাচিউরড। এ কারণে চাকরিচ্যুতির পর আমরা আবার রিট করেছি। আদালত চাকরিচ্যুতির আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে।”

গত ২৪ অগাস্ট সিন্ডিকেটের বৈঠকে এই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়।

সিন্ডিকেট সদস্য রাশেদা আখতার সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগীয় কমিটিতে অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্তি এবং ওই ঘটনায় বিভাগের ফটকে তালা দিয়ে সংকট তৈরিসহ কয়েকটি অভিযোগে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এর আগে ১৮ মার্চ সিন্ডিকেটের আরেক সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে প্রধান করে একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অধ্যাপক ফারজানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি (মোহাম্মদ আলী আকন্দ) বিভাগের শিক্ষক কর্মচারীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অনিয়ম করেছেন। তার মতের বিপক্ষে কথা বললেই বিভাগের শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন সময় তালাবন্ধ করে রেখেছেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”

অন্যদিকে মোহাম্মদ আলীর দাবি, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায়’ তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

মোহাম্মদ আলীর আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি একাই লড়ে আসছিলেন। তিনি অনশনও করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করে একটি তদন্ত কমিটি করে। সেই কমিটিতে তাদেরকেই রাখা হয়, যাদের বিরুদ্ধে তিনি লড়ছিলেন।”

এ কারণে অধ্যাপক আলী ‘নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে’ কমিটি করতে চিঠি দিলেও তা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী।