চবি হল থেকে পেট্রোল বোমা উদ্ধার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ১৩টি পেট্রোল বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2014, 06:27 AM
Updated : 25 August 2014, 06:27 AM
হাটহাজারি থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, রোববার গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে পেট্রোল বোমা, দা ও পাথর উদ্ধার করা হয়।

তবে এসময় কাউকে আটক করা হয়নি।

ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের গোলাগুলির পর রোববার রাত ৯টা থেকে এ অভিযান শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসময় হলের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩টি পেট্রোল বোমা, একটি বড় দা ও বেশ কিছু পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।”

সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই হলে কোন শিক্ষার্থীকে ঢুকতে দেয়া হয়নি জানিয়ে প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গোলাগুলির পর রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের গেইটে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তালা ভেঙ্গে ভেতরে অভিযান চালানো হয়।”

পেট্রোল বোমা ও পাথরগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানান প্রক্টর।

এদিকে এ পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

দুপুরের দিকে উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে শিক্ষক সমিতি, হল প্রভোস্ট ও নীতি নির্ধারকদের নিয়ে এ বৈঠকে হলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিরাজ উদ দৌল্লাহ।

রেববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খেলার মাঠে কথা কাটাকাটির জের ধরে শিবির-ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়, তবে কেউ আহত হয়নি বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ থামার পরপরই সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও আলমগীর টিপু জানায়, রাতে শিবির পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। শাহ আমানত হলের সিট বরাদ্দ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানোয় এ হামলা করা হয়।

ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বছরের ১২ জানুয়ারি শাহ আমানত হলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়। আহত হয়েছিল আরও অনেক শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনার পর শাহ আমানত হল সিলগালা করে দেয়া হয়।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের সব সিট বাতিল করে শাহ আমানত হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে আসন বরাদ্দের আবেদন আহ্বান করেছে।