ছাত্রফ্রন্টের জাবি সম্পাদক বহিষ্কৃত

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের  কারণ দেখিয়ে সংগঠনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ধীমান মল্লিককে বহিষ্কার করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2014, 05:18 PM
Updated : 12 July 2014, 05:18 PM

একই অভিযোগে এই শাখার সদস্য ইয়াসির আরাফাত লাবুকেও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে শনিবার ছাত্রফ্রন্টের পক্ষ তেকে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদককে লাঞ্ছিত করায় তাদের দুজনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃত ধীমান এর আগে সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মৈত্রী বর্মন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরাচারী’ কায়দায় সংগঠন পরিচালনার অভিযোগ এনেছিলেন। 

গত ১০ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছিলেন। এরপর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন ধীমান; যাতে বলা হয়, তার সমর্থক লাবুকে মারধর করেছেন প্রিন্স।

ধীমান সাংবাদিকদের বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আড্ডা দেয়ার সময় নাসিরুদ্দিন প্রিন্স ও তার সমর্থকরা আগ বাড়িয়ে কথা বলতে এসে উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।”

গত শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে ধীমান অভিযোগ করেছিলেন, সংগঠনের বিষয়ে মৈত্রী বর্মন একাই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন।

“নতুন কাউন্সিল গঠন না করে জোন ইনচার্য ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নাসিরুদ্দিন প্রিন্সের অতিরিক্ত খবরদারি ও আহ্ববায়ক মৈত্রী বর্মনের স্বেচ্ছাচারিতা সংগঠনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে, যে কারণে সংগঠনে কোনো গতিশীলতা নেই।”

তার অভিযোগ অস্বীকার করে মৈত্রী বর্মন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। নিয়ম বর্হিভূতভাবে সংবাদ সম্মেলনে করে সংগঠন সম্পর্কে কুৎসা রটানো হয়েছে।”

কয়েক বছর আগে বাসদে ভাঙনের পর ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সংগঠনটির বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা দুই দলে ভাগ হয়ে পড়ে।