রোকেয়ার উপাচার্য অবরুদ্ধ

চাকরি স্থায়ীকরণ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

রংপুর প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিঢোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2014, 03:58 PM
Updated : 3 July 2014, 03:58 PM

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে নিজ কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ১১টায় উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেন। উপাচার্যের কক্ষে আরও আটকা পড়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আর এম হাফিজুর রহমান সেলিমসহ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের পক্ষে সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) ওবায়দুর রহমান বলেন, “আমাদের ন্যায়সংগত দাবি নিয়ে আমরা গত এক বছর থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, এক বছরেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হয়েছি।”

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোর্শদ-উল আলম রনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেতনভুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫৪০ জন। সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়া ইউজিসির অনুমোদন না নিয়ে অতিরিক্ত ৩৩৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে নতুন উপাচার্য একেএম নূর-উন-নবী অনেকের চাকরি স্থায়ী করেছেন। তবে সবার চাকরি স্থায়ী করা এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

বর্তমানে আন্দোলনরত ১৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি অন্তর্বর্তীকালীন। এদের চাকরির মেয়াদ গত বছর জুন মাসে শেষ হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে এম নূর-উন-নবী অবরুদ্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইউজিসির নিয়মের বাইরে কোনো কিছু করার এখতিয়ার আমার নেই। গত বছরের ৬মে আমি যোগদান করেছি। এক বছরের মধ্যে অনেকের চাকরি স্থায়ী করেছি। বাকিদের চাকরি স্থায়ী করতে সময় লাগবে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে, কিন্তু তা সময়ের ব্যাপার বলে জানান উপাচার্য।

শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে গত বছরের ৫মে উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়াকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে উপাচার্য মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া এবং তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে গত বছরের ১২মে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।