বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চবি শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন, সমাবেশ এবং সংবাদ সম্মেলন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবি জানান।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ’ শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনের পর সমাবেশ থেকে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষকতা পেশায় কম বেতন-ভাতার ফলে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে পদমর্যাদা অনুযায়ী মানসম্পন্ন জীবনযাপন করা কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।
যুগোপযোগী আর্থিক সক্ষমতা ও সামাজিক মর্যাদা ঘাটতির কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, “এ কারণে শিক্ষকরা পার্টটাইম জব, কনসালটেন্সিসহ অন্যান্য কাজে উৎসাহিত হচ্ছে।”
এতে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাশূন্য হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষক নেতারা বলেন, দেশের কর্মক্ষেত্রের জন্য মেধাবী ও যোগ্য জনশক্তি তৈরিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে প্রধানতম ভূমিকা পালন করছে।
‘‘কিন্তু সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কমবেতনে কাজ করছেন এবং তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।’’
বক্তারা দেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেল বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মানববন্ধন শেষে সমিতির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এসব দাবি নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এতে জানানো হয়, শিক্ষক সমিতির এসব দাবি নিয়ে চবি ক্যাম্পাস, ঢাকায় মানববন্ধনসহ প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সঙ্গে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনের পার্থক্য তুলে ধরেন।