১ কক্ষ ১ শিক্ষক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ

তিন ব্যাচের ১৬০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি শ্রেণিকক্ষ এবং একজন শিক্ষক নিয়ে চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ।

আহমেদ সজলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2014, 01:09 PM
Updated : 10 March 2014, 01:09 PM

শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটের কারণে স্থবির এই বিভাগ শিগগিরই সচল হওয়ার আশা বিভাগীয় সভাপতি প্রবাল দত্ত দিলেও সেই আশ্বাসে ভরসা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ষষ্ঠ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও দুটি কোর্স পড়ানোই হয়নি শিক্ষকের অভাবে।

বিভাগীয় সভাপতিও বলতে পারেননি কবে নাগাদ পড়াতে পারবেন ওই কোর্স দুটি।

ষষ্ঠ সেমিস্টারের মতো অন্য সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ধুঁকতে থাকার মধ্যেই ১৬০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে এপ্রিল মাসে যোগ হতে যাচ্ছেন নতুন শিক্ষাবর্ষের আরো ৪৫ জন।

চার বছর আগে যাত্রা শুরু করা এই বিভাগে বিভাগীয় সভাপতি প্রবাল দত্তসহ পাঁচজন শিক্ষক ছিলেন। তিন শিক্ষক চাকরি ছেড়ে গেছেন। ছাত্রী নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর আরেক শিক্ষককে গত বছর অব্যাহতি দেয়া হয়।

এখন বিভাগের একমাত্র শিক্ষক হিসেবে প্রবাল দত্তই রয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগ এবং বাইরে থেকে আসা শিক্ষকরা খণ্ডকালীন হিসেবে পড়ান।

খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে ক্লাস চললেও পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা কাটছে না। কারণ পরীক্ষা কমিটি গঠনের জন্য অন্তত তিনজন শিক্ষক প্রয়োজন।

আর তা না থাকায় পরীক্ষা আটকে আছে জানিয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী হাসান শাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষক এবং শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে নজিরবিহীন অনিশ্চয়তায় রয়েছি, গতিশীল শিক্ষাজীবন চাই আমরা।”

কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সুফল আসছে না দাবি করে একই সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কবির হাসান বলেন, “বহুবার জানানো হয়েছে, এতে শুধু মেলে আশ্বাস, কাজ হয় না।”

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি তন্ময় ধর বিভাগের এই নাজুক অবস্থার জন্য প্রশাসনের ‘গাফিলতিকে’ দায়ী করেন।

এই বিষয়ে প্রবাল দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে বিভাগের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন।

তিনি সেইসঙ্গে বলেন, “নতুন একটি শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ হচ্ছে, নতুন উপাচার্যকে অবহিত করা হয়েছে, সঙ্কট কেটে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”