এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকদের বেতনও বাড়ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিগগিরিই এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
বর্তমানে এসএসসি উত্তীর্ণ নারী এবং স্নাতক পাস পুরুষ প্রার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেন।
১৯৯১ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে।
সন্তোষ অধিকারী বলেন, শিক্ষক নিয়োগে নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস নির্ধারণের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) অনুমোদন করেছে।
“আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে প্রধানমন্ত্রীও তা অনুমোদন করেছেন। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই সংশোধিত বিধিমালা জারি করা হবে।”
অন্যদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় একমত হয়েছে জানিয়ে সন্তোষ বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ বাড়ানোর বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে।
“অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভার রেজুলেশন হাতে পেলে শিগগিরই এসব বিষয়ে আদেশ জারি করা হবে।”
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা এখন তৃতীয় শ্রেণির। তবে প্রধান শিক্ষকরা এক ধাপ বেশি স্কেলের বেতন-ভাতা পান।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা চার হাজার ৭০০ টাকা এবং প্রধান শিক্ষকরা পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা স্কেলে বেতন পান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত তিনটি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ এসএসসি পাস প্রার্থী আবেদন করেছেন। বাকিদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের।
“শুধু নারী প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি পাস হওয়ায় সব সহকারি শিক্ষকই এসএসসি স্কেলে বেতন পাচ্ছেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই কমপক্ষে ডিগ্রি পাস।”
গত মাসে ২২ হাজার ৯২৫টি এমপিওভুক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের ফলে বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬০ হাজার ৫৯৭টি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আগে দেশে ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল।
আরো দুই ধাপে তিন হাজার ৯১২টি এমপিওভুক্ত রেজিস্ট্রার্ড এবং নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষামান বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা রয়েছে।