বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চ বুধবার এ বিষয়ে একটি রুলও জারি করেছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, শিক্ষা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ট্রাস্টি সদস্যকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালতের আদেশে বলা হয়, এর আগে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত বলে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু ওই ঘটনায় হামলাকারীদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
“আরেক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগও রয়েছে যে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসীর উৎপাদন ক্ষেত্র।”
এ দুটি বিষয়ের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় হাই কোর্টের রুলে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্য বিবাদীদের আদালাভাবে এই প্রতিবেদন দিতে হবে।
ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় পর কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাও জানাতে বলেছে আদালত।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনের সক্রিয় কর্ম ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর গত শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক সাবেক নেতার পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই পাঁচজন রাজীবকে হত্যা করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেছে।
ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।