আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলি হয়। তার জের ধরে শনিবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই পক্ষ।
এই সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাব্বি (১০) নামে একটি শিশু মারা যায় বলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফজলুল করিম জানিয়েছেন।
এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ছাত্র হলে ভাংচুর চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় বলে উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাত ৮টার মধ্যে সবাইকে হলত্যাগ করতে হবে।”
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়।
রাব্বি নিহত হওয়া ছাড়াও সংঘর্ষে পথচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
রাব্বি ক্যাম্পাসের পাশের বয়রা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। মাথায় গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাহ আলম তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাথায় গুলিবিদ্ধ রাব্বি বিকাল সাড়ে ৩টায় হাসপাতালে মারা যায়।
এছাড়াও গুলিবিদ্ধ জয় দেব (২০) ও আহসান (২২) নামে বাকৃবির দুই ছাত্রকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বেলা ১২টার দিকে সাধারণ সম্পাদকের সমর্থক রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ে গেলে সেখানে অবস্থানরত সভাপতির সমর্থক নেতা-কর্মীরা তাকে ধাওয়া করেন।
খবর পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রিত হলগুলো থেকে নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে আসে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
তারও আগে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে ঈশা খাঁ হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত ১০ জন।