ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরি দিতে বাধ্য’ বলিনি: জবি উপাচার্য

ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তাকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরটি ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2017, 07:23 PM
Updated : 4 June 2017, 05:49 AM

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘পরিকল্পিত’ ওই খবরটি প্রকাশ করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রেস ক্লাবের ইফতার অনুষ্ঠানে মীজানুর রহমান একথা বলেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে’ গত ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে অস্থায়ীভাবে ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন উপাচার্য।

এ বিষয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে মীজানুর রহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাকরি দিতে আমি বাধ্য।নিয়োগপ্রাপ্ত ওই ১২ জন কঠোর পরিশ্রমী নেতা-কর্মী ছিলেন।এর মধ্যে দুজন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা।এটাই তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।”

একথা অস্বীকার করে অনুষ্ঠানে মীজানুর রহমান বলেন, “আমি এত বোকা নই যে আমি বলব- ছাত্রলীগকে চাকরি দিতে আমি বাধ্য। মূল বিষয়টা হল, চাকরি প্রত্যাশী সবাই নিজেকে ছাত্রলীগ বলে দাবি করে।

“ওই পত্রিকার প্রতিবেদককে আমি এভাবেই বলেছিলাম। কিন্তু আমার বক্তব্য টুইস্ট করে একটা বাজে খবর প্রকাশ করেছে।” 

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত’ ওই খবর প্রকাশ করা হয় দাবি করে সাবেক যুবলীগ নেতা মীজানুর রহমান বলেন, “শুধু তাই নয়, খবর প্রকাশের পরপরই সম্পাদকীয় লিখে ফেলেছে ওই পত্রিকার এক কর্ণধার। ওই কর্ণধার আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত।

“তিনি একটিবার আমার কাছে জানতে পারতেন- মূল বিষয়টা কী। কিন্তু তিনি তা করেননি। এতেই বোঝা যায়, এটা একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত খবর।” 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের ‘সংঘবদ্ধ’ থাকার আহ্বান জানান উপাচার্য।     

“সাংবাদিকরা যত বেশি মিলেমিশে থাকবে, তারা তত বেশি শক্তিশালী হবে। তাদের কলম তত বেশি প্রখর হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান।

জবি প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শাহীন।

অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অশোক কুমার সাহা, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা কাজী মোবারক হোসেন, ইমরান আহমেদ ও মনিরুজ্জামান তুফান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।