সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক জাগরণ; সাংস্কৃতিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। বাঙালি জাতির প্রকৃত সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মানসিক এবং বাস্তবিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তাহলেই জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব হবে।
“স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা বিরোধিতা করেছিল, তাদের উত্তরসুরীরাই আজ জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্ট। জঙ্গিবাদের উদ্ভব হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি। এর আগেও পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবাদের উদ্ভব ঘটেছে। তাই শুধুমাত্র প্রশাসন দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়।”
মীজানুর রহমান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার। সত্যিকারের মানুষের বাংলাদেশ গড়তে পারলেই সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। তাই সত্যিকারের মানুষ গড়াই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক প্রিয়ব্রত পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা জলি।