ঢাবিতে সাংবাদিক মারধরে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বহিষ্কার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় এক প্রতিবেদকের আহতের ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 01:50 PM
Updated : 15 March 2017, 01:50 PM

একইসঙ্গে এ ঘটনায় বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফরহাদ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

সোমবার রাতে বিজয় একাত্তর হলের বিভিন্ন কক্ষে নিজেদের কর্মী তুলতে শিক্ষার্থীদের বাধা পেয়ে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে ভাংচুর ও বিক্ষোভ করেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।

এক পর্যায়ে সংগঠনের নেতাদের কথায় বিক্ষোভ থেকে সরলেও শেষ রাতের দিকে ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইমরান হোসেনকে হলে মারধর করেন তারা।

ছাত্রলীগের ১০/১৫ জন নেতাকর্মী পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় অভিযোগ করে সাংবাদিক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় সাংবাদিক ইমরান সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাত ৩টার দিকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকরা যখন হল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন, তখন লাইট বন্ধ করে, মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে সুপরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতাদের।

হামলার ঘটনার পর ইতোমধ্যে বিজয় একাত্তর হল শাখা পাঁচজন কর্মীকে বহিষ্কার করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ।

বহিষ্কৃতরা হলেন- মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সজিব ও তুনান শেখ, উর্দু বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সালাউদ্দিন ও মাহফুজ আহমেদ এবং মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সাকিব।

প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ বানিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অভিযোগ।

তারা বলছেন, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল আহমেদ ও নয়ন হাওলাদারের নির্দেশেই এ হামলা হয়। তাই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ বানিয়ে বহিষ্কার করে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা কখনোই মেনে নেওয়া হবেনা।

ঘটনায় জড়িতদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং ছাত্রলীগকে বিজয় একাত্তর হল শাখার কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে সাংবাদিকরা কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে।

ক্ষমতাসীন সংগঠনের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণির বিপথগামী সদস্যদের মাধ্যমে সাংবাদিক নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনায় জড়িতরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার পেয়ে যাওয়ার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।