শনিবার দুপুর দেড়টায় উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করার পর রোববার দুপুরেও বের হতে দেওয়া হয়নি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত উপাচার্যকে আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
রুয়েট কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক বর্ষ থেকে পরের বর্ষে উত্তরণের ক্ষেত্রে ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ ক্রেডিট পাওয়ার নিয়ম করে।
এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিল। তাদের ভাষ্য, দেশের অন্য কোনো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো কঠোর নিয়ম নেই।
আগের ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতিতে ফিরে যেতে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করে ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ‘অহেতুক চাপে’ ফেলছে কর্তৃপক্ষ। অথচ ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতিতে দুই-এক বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও পরের সেমিস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুই শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ স্থগিত করে। পরদিন ছাত্রাবাস বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এরপর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ও উপাচার্যের কার্যালয় অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার বেলা ১২টায় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জালালউদ্দিন জানিয়েছেন।
“উপাচার্য স্যারকে গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেলা ১২টায় আবার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিংয়ের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।”