এর পাশাপাশি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেন ওই সভার আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
সাদেকা হালিম বলেন, “নারীরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মূলত শিক্ষা ও দক্ষতার অভাবে এবং সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে। এই বৈষম্য নিরসনে নারীদের শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন আছে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের বাজারে নারী এবং পুরুষের মজুরি বৈষম্য ২১.২ শতাংশ।
“যদি নারীদের পুরুষের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে এই বৈষম্য ১২.১ শতাংশ কমে আসবে, কিন্তু ৮ শতাংশ মজুরি বৈষম্য তবুও থেকে যাবে। আর এই ৮ শতাংশ বৈষম্য বাজার নিজেই তৈরি করছে।”
বৈষম্যের ক্ষেত্রে বয়স, শিক্ষা এবং পেশা এই তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, এই তিনটি বিষয় যদি নারীদের পক্ষে থাকে তাহলে বৈষম্য অনেকটাই কমানো যায়।