সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে মারামারি

নবীন শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানো নিয়ে মারামারিতে জড়িয়েছে পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ।

নিজস্ব  প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2017, 04:49 PM
Updated : 9 Jan 2017, 04:50 PM

সোমবার বিকালের এ ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি আবুল হাসান।

আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- সোহেল পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান।

নবীন শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানো নিয়ে কলেজ শাখার সভাপতি রাতুল শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত কুমারের অনুসারীদের মধ্যে এই মারামারি হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক কর্মকর্তা জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুরে কলেজ অডিটোরিয়ামে ৪৫তম ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠান হয়। এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিজেদের দলে ভেড়ানোর জন্য রাতুল শিকদার ও অচিন্ত কুমার তাদের দলবল নিয়ে জড়ো হতে থাকে।

“অনুষ্ঠান শেষে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাসের মারামারি পরে প্রধান ছাত্রাবাস পর্যন্ত গড়ায়।”

ফাইল ছবি

সংঘর্ষে ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে ভাংচুর হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী।

এদিকে দুইপক্ষের এই মারামারিতে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আসা এক ছাত্রীর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হঠাৎ ছাত্রদের মারামারিতে ভয়ে দৌঁড়ে মহিলা ছাত্রাবাসে মেয়েকে নিয়ে চলে আসি।”

আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এ রকম যদি হয়। তাহলে আমার মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতে হবে।”

নতুন শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে এই মারামারির কথা স্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ বেল্লাল হোসেন আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একাডেমিক সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ছাত্রলীগের ‍দুই পক্ষের মারামারিতে মিটফোর্ড হাসপাতালের রোগীদের কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়নি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার।

তিনি বলেন, “যতটুকু শুনেছি মারামারি হয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে। হাসপাতালের চত্বরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।”

এদিকে মারামারির পর ফের যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য কলেজের দুই ছাত্রাবাসে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান কোতয়ালির ওসি আবুল হাসান।

তবে সংঘর্ষের বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল ও সাধারণ সম্পাদক অচিন্তের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।