বৃহস্পতিবার রাতে শাটল ট্রেনে বসাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার জেরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন নগর কমিটির সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংঘর্ষে নিজের কয়েকজন অনুসারী আহত হয়েছেন বলে দাবি করলেও তাদের নাম জানাতে পারেনি ফজলে রাব্বি সুজন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মোকাদ্দেস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানায়, রাতের ক্যাম্পাসমুখী শাটল ট্রেনে বসা নিয়ে ঝগড়ার পর সভাপতি টিপুর অনুসারীরা শাহ জালাল হলে এবং সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে পরস্পরকে ইট ছুড়তে থাকে। এসময় কয়েকটি হাতবোমারও বিস্ফোরণ ঘটে।
সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাটল ট্রেনে বসাকে কেন্দ্র করে সভাপতি গ্রুপের ছেলেরা আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে। এ নিয়েই সমস্যা হয়েছে।
“সভাপতির অনুসারীরা সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সভাপতি টিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেমন কিছু না। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, মিটে গেছে।”
এদিকে রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঁচ ছাত্রকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক পঙ্কজ বড়ুয়া।
এর আগেও সভাপতি টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীরা বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।