‘ফি’ বাতিলের আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগরের ভর্তি স্থগিত

বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিলের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আন্দোলনের মুখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2016, 02:53 PM
Updated : 11 Dec 2016, 04:53 PM

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মেধা তালিকা থেকে ভর্তি শুরুর কথা থাকলেও প্রগতিশীল ছাত্রজোট দিনভর অগ্রণী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা অবরোধ করে রাখায় কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি।

পরে বিকালে বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কর্তৃপক্ষ ‘অনিবার্য কারণে’ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে।

ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করার কারণ জানতে চাইলে ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব (শিক্ষা) মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আমরা সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করেছি। আগামী ১১ ডিসেম্বর ভর্তি পরিচালনা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।”

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিবছর বিভাগগুলো নির্ধারিত ভর্তি ফির বাইরে ‘বিভাগ উন্নয়ন ফি’র নামে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও নেই।

গত কয়েক বছরে এ বিষয়ে আন্দোলন করেও সাড়া সামাধান না পেয়ে বুধবার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ‌্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুক হেলাল অনিক বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এই বিভাগ উন্নয়ন ফি যেভাবে বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন শিক্ষা বাণিজ্যের কাতারে পড়ে গেছে।”

অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারীরা ব্যাংকের সামনে থেকে রেজিস্ট্রার ভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাদের এই আন্দোলনের কারণে কোনো শিক্ষার্থী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে না পারায় ভর্তি কার্যক্রমও আটকে থাকে।

বেলা ১টার দিকে রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক ব্যাংকের সামনে উপস্থিত হয়ে ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি বিভাগ উন্নয়ন ফি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান।

কিন্তু আন্দোলনকারীরা তার আহ্বানে সাড়া না দিলে শেষ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীই আর ভর্তি হতে পারেননি বলে বিশ্ববিদ‌্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান।