ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল কর্মীদের বিতাড়নের অভিযোগ

ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ কর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2016, 12:46 PM
Updated : 2 Dec 2016, 12:46 PM

বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বী হল থেকে ১০/১২ জন ছাত্রদল কর্মীকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কলেজ ছাত্রদলের নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সম্পাদক মাহমুদুল হাসান খান সুমন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে তার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে সেখানে তাকে অভিবাদন জানাতে অন্যদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজের কিছু ছাত্রদল কর্মীও যোগ দেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে ওই রাতেই ফজলে রাব্বি হল থেকে সজিব, শাহীন, শিপন, তারেক, কাফি, রবি, ইসমাইল, রাসেল, জাহিদসহ ১০/১২ জন ছাত্রদল কর্মীকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ।

এসময় কয়েকজনকে মারধরও করা হয় দাবি করে সুমন বলেন, “তারা (ছাত্রলীগ কর্মীরা) রাতেই ওই ১০/১২ জন ছাত্রদল কর্মীকে ফজলে রাব্বি হলের ক্যান্টিনে ডেকে পাঠায়। পরে তাদের রাতেই বের করে দেয়। এর মধ্যে শিপন ও রাসেলকে মারধর করে।”

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সম্পাদক আরও বলেন, বের করে দেওয়া কর্মীদের মধ্যে কাফি ও শিপনের ইন্টার্নশিপ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরকে হাসপাতাল এলাকায় আসতে নিষেধ করে দিয়েছে।

অপর দুই কর্মী রাসেল ও ইসমাইলের চতুর্থ বর্ষের অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা থাকলেও তারা এতে অংশ নিতে পারছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান ইসহাক কয়েকজনকে বিতাড়িত করার অভিযোগ স্বীকার করলেও তা মাদকের আড্ডা বসানোর জন্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে নয়, ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা বসিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার কারণে তাদেরকে বিতাড়ন করা হয়েছে।

“এদের কয়েকজন ৬/৭ বছর আগে ভর্তি হলেও ফার্স্ট পর্বও শেষ করতে পারেনি। এরা হলের মধ্যে মাদকের আড্ডা বসিয়েছে। আমরা তাদের বের করে দিয়েছি। মোট পাঁচ জনকে বের করা হয়েছে।”

ছাত্রলীগ নেতা রায়হান আরও অভিযোগ করেন, কাফি ও শিপনের ইন্টার্ন বিল্ডিংয়ে থাকার কথা। কিন্তু রুম দখল করে ছিল।

ছাত্রদল কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে এমন অভিযোগ উত্তরে তিনি বলেন, “ওরা স্টুডেন্ট, আমিও স্টুডেন্ট। ভয় পাওয়ার কি আছে। খারাপ কাজ করলেই কেবল ভয় পাওয়ার কারণ আছে।

“কাউকে ভয় দেখানো আমার কাজ নয়। আমার নিজের সংগঠনের আদর্শ প্রচার করি। তারা তাদের কাজ করে,” বলেন রায়হান।