শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ বলেছে, নাসরিন হোসাইন নামের এক পরীক্ষার্থী ‘ভুল করে’ অনুপস্থিত পল্লবী বাড়ৈ’র আসনে বসে হাজিরা খাতা ও উত্তরপত্রে ‘ভুল’ রোল নম্বর লেখায় এই বিপত্তি ঘটেছে।
এক্ষেত্রে পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদেরও যে ভুল ছিল তা স্বীকার করেছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম।
বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে অনুপস্থিত পল্লবীকে উত্তীর্ণ দেখানো হলেও বাদ পড়েন নাসরিন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর নাম মেধা তালিকায় আসায় বিষয়টি বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়।
এরপর শুক্রবার আইইআর কর্তৃপক্ষ জানায়, নাসরিনের আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তার প্রাপ্ত স্কোরের ভিত্তিতে সংশোধিত ফলাফলে তাকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর আইইআর’র সান্ধ্যকালীন স্নাতকোত্তর (এমএড) কোর্সের এই ভর্তি পরীক্ষা হয়। ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক পল্লবী ভর্তি পরীক্ষার ফরম তুলে জমা দিলেও অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত থাকেন।
শুক্রবার আইইআর-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভুল স্বীকার করে বলা হয়, নাসরিন হোসাইনের রোল নম্বর ছিল ২৫৫৮। আইইআর ভবনের ২০৭ নম্বর কক্ষে তার আসন ছিল। তবে প্রবেশপত্রে রোল নম্বরের শেষ অঙ্কের ‘অস্পষ্টতাজনিত কারণে 8 (এইট) কে 3 (থ্রি)’ ধরে নিয়ে তিনি ২০৮ নম্বর কক্ষে পল্লবী বাড়ৈয়ের (২৫৫৩) আসনে বসে পরীক্ষা দেন। পরে হাজিরা খাতা ও উত্তরপত্রেও রোল নম্বর ২৫৫৩ লেখেন তিনি।
ফলাফল প্রকাশের পরদিন নাসরিন লিখিত আবেদন করলে তার প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাই করে এই ভুল ধরা পড়ে বলে জানান শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম।
এর পরই ফলাফল সংশোধন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ওই কক্ষে দায়িত্বরত পরীক্ষকদের ‘অসতর্কতায়’ এই ভুল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের এরইমধ্যে বলা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবেও সতর্ক করা হবে।