বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী জানান, ওই সাত পরীক্ষার্থীকে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ৫৪টি এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ৪৫টি স্কুল-কলেজসহ মোট ৯৯টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এমসিসকিউ পরীক্ষা হয়। এই ইউনিটের ১ হাজার ৫৪০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৯ হাজার ১৭০ জন আবেদন করেছিলেন এবার।
প্রক্টর জানান, নীলক্ষেত হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে তারেকুল ইসলাম তুহিন, কার্জন হলের ট্রিপল ই কেন্দ্র থেকে আবদুল্লাহ আল মহসী ও আজিমুল আবিদ খান রিফাত, কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল কেন্দ্র থেকে মিলন হোসেন এবং মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্র থেকে তৌহিদুল ইসলাম সবুজ ও এনামুল হক এবং আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে আবু সাইদকে আটক করা হয়।
এছাড়া সিদ্ধেশ্বরী হাই স্কুল কেন্দ্রের বাইরে থেকে রাব্বিক হাসান মন এবং মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের তাসকিনুর রহমান তমালকে প্রাথমিকভাবে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, “যেহেতু ফোনসহ কেন্দ্রে ভেতরে পাওয়া যায়নি এবং তারা চক্রের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে, এ কারণে ওই দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
আমজাদ আলী জানান, আরমানিটোলার আহমেদ বাওয়ানী স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী আবু সাইদ এমন একজনের সঙ্গে তমাল, মহসী ও রিফাতকে মেহেদির পরিচয় করিয়ে দেন, যে তাদেরকে প্রশ্ন সরবরাহ করে।
মহসী ও রিফাত মোবইল নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন বাইরে পাঠান। এরপর তাদের কাছে বাইর থেকে উত্তরও আসতে শুরু করে। তমালের ফোনেও হোয়াটস অ্যাপে উত্তর আসে, তবে তিনি ফোন নিয়ে ঢুকতে পারেননি, সেটি কেন্দ্রের বাইরে রাখা ছিল।
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী সবুজ ও এনামুলের ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে উত্তর আসার বিষয়টি হাতেনাতে ধরা হয়।
পরীক্ষা শুরুর ১৪ মিনিট পর রাব্বিক হাসান মনকে কেন্দ্রের বাইরে আটক করা হয়। তার ফোনেও তখন উত্তর আসছিল।
প্রক্টর বলেন, “সে উত্তর মিলিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকতে চেয়েছিল। সে বলেছে, লেদার ইঞ্জিনিয়ানিং ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার তাকে ওই প্রশ্ন দিয়েছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বাবুল সরকারের বক্তব্য জানতে পারেনি।