রাবি শিক্ষক জলির আত্মহত্যায় ‘প্ররোচনার’ বিচার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আকতার জাহান জলিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিষয়টি তদন্ত ও বিচার দাবিতে ঢাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন ওই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2016, 04:56 PM
Updated : 28 Sept 2016, 04:56 PM

বুধবার বিকালে টিএসসির রাজু স্মারক ভাস্কর্য’র পাদদেশে ঢাকায় অবস্থানরত রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ‘আমরা তোমরাই পুণরুত্থান’ শিরোনামে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে আরিফ রেজা মাহমুদ টিটো বলেন, “আমরা চাই মামলার সঠিক তদন্ত হোক। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের কি অবস্থা? ভিসেরা রিপোর্টের খবর কি?

“তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও মামলার তদন্তে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে আমরা তা জানি না, কালক্ষেপণ চলছে।”

‘দ্রুত ও সততার সঙ্গে’ মামলার তদন্ত শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানিয়ে টিটো বলেন, আকতার জাহানের ছেলে সোয়াদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে তার বাবার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের মামলা করা হোক।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাবি শিক্ষকদের আবাসিক ভবন থেকে আকতার জাহান জলির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই ঘরে পাওয়া জলির চিরকুটে ‘আত্মহত‌্যার’ কথা জানিয়ে ‘কেউ দায়ী নয়’ বলা হলেও নিজের সন্তানের গলায় ‘ছুরি ধরার’ অভিযোগ আনা হয় সাবেক স্বামী ওই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমেদের বিরুদ্ধে।

জলির ছেলে আয়মান সোয়াদ আহমেদ সোমবার রাতে নিজের ফেইসবুকে এক স্ট্যাটাসে তার গলায় বাবার (তানভীর) ছুরি ধরার ঘটনার বর্ণনাও দেন।

প্রতিবাদ কর্সূচিতে অংশ নিয়ে রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক দিল আফরোজ বলেন, “আমরা বিচার চাই, যে বা যারা দায়ী তাদের বিচার চাই।

জলির আত্মহত্যায় ‌‘প্ররোচনাকারীদের’ শনাক্তে সহায়তা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জলির আত্মহত্যার যারা প্ররোচনা দিয়েছেন তাদের বিচার দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে সবাইকে একাত্ম থাকতে হবে।”

সমাপনী বক্তব্যে সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, মামলার তদন্তের অগ্রগতির উপর পরবর্তী কর্মসূচি নির্ভর করবে।

তবে আগামী সপ্তাহে বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রধানকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।