রোববার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম।
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাম নেতৃতাধীন অংশটি সোমবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁতীবাজার মোড়েই অবস্থান ধর্মঘট পালন করবে।
সাংবাদিকদের শরীফুল ইসলাম বলেন, “হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। এ দাবির বিষয়ে সুষ্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।”
এর আগে রোববার সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল একটি গণমাধ্যমে ছবিসহ কয়েকজন শিবিরের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। শিবিরের ওই কর্মীরাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা করেছে। ভিডিও চিত্রেও দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের মারধর করছেন।
গত ২ আগস্ট থেকে পরিত্যক্ত কারাগারে হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা।
২০১৪ সালের সর্বশেষ হল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্রলীগ। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল হলটি উদ্ধার হয়। এছাড়া গতি পায় নতুন একাডেমিক ভবন ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের, উদ্যাগ নেওয়া হয় কেরাণীগঞ্জে নতুন জমি ক্রয়ের।
এছাড়া অন্যান্য সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল বাম সংগঠনগুলোই। ২০১১ সালে তাদের আন্দোলনেই ড. হাবিবুর রহমান হলটি উদ্ধার হয়।