শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ শেষে হল আন্দোলনের সংগঠক রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা রবি ও সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ রায়সাহেব বাজার মোড় ও নয়াবাজার মোড়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করব।”
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।
হল আন্দোলনের আরেক সংগঠক মনিরুল ইসলাম রাজন বলেন, “রবি ও সোমবার আমরা একটু ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করব। রায়সাহেব বাজার ও নয়াবাজারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি পথনাটক, রাস্তায় আল্পনা আঁকাসসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি থাকবে।”
কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর গত সাত বছর ধরে হলের দাবি জানিয়ে এলেও তা পায়নি পুরান ঢাকার এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের হল আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হতে দেখা যায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের।
হলের দাবিকে ‘যৌক্তিক’ অভিহিত করে এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস।
সমাবেশে নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যাপক এ এন রাশেদা বলেন, “শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে যে দাবি করছে তা মেনে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। হলের দাবি তাদের ন্যায্য দাবি, এটি তাদের দিতে হবে।”
সরকার জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের হলের দাবি মেনে নিয়ে এজন্য কাজ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সমাবেশে তিনি বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে ছিল। কিন্তু হলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে নেমেছে, তখন তাদের পাসে কোনো শিক্ষক নেই, শিক্ষক সমিতি নেই।”