মঙ্গলবার পৌনে ২টার দিকে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় ছেড়ে গেলে পুরান ঢাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দিনের কর্মসূচি শেষের আগে আন্দোলনের সংগঠক রাইসুল ইসলাম নয়ন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী আগামীকালও আমাদের ধর্মঘট চলবে।
“আজ আমরা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করে সে আহ্বান জানিয়েছি।”
এর আগে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলের পর মূল ফটক আটকে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত জমিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নির্মাণের দাবিতে ২ অগাস্ট থেকে আন্দোলনে রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ে গিয়ে পুলিশের বাধা পেয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিলে পুলিশের বাধা পেয়ে ফের দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা।
১৯৮৫ সালে থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হল দখল করে আছে প্রভাবশালীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার পর ২০০৯ সালে হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১১ ও ২০১৪ সালে দুটি হল উদ্ধার হয়।
তবে সেগুলোর সংস্কার নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।