সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা হয়তো প্রতিদিন মানববন্ধনে মিলিত হব না, কিন্তু প্রতিদিন ঐক্যবদ্ধ থাকি, যেন কোথাও সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিতে না পারে।
“এজন্য আমরা শুরু করি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, আমাদের ক্যাম্পাস থেকে, এখানে যদি কাউকে পাওয়া যায়..যারা নিষিদ্ধ জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত আছে, তাদের হয়ে কাজ করেছে, তাদের প্ররোচনা প্ররোচিত করছে, সেক্ষেত্রে আমাদের একাডেমিক ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন খুবই শক্ত। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নীলক্ষেতের গণতন্ত্র মুক্তি তোরণ গেইট থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে হাই কোর্টের মোড় পর্যন্ত, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উল্টো দিকে এনেক্স ভবনের সামনে, শাহবাগের চারুকলা অনুষদের সামনে রাস্তার দুইপাশে মানববন্ধনে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা।
স্মৃতি চিরন্তনের সামনে উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “আমরা কখনও জঙ্গিবাদকে মেনে নেইনি, নেব না। এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। আজ আমরা একসাথে মিলিত হয়েছি, এখন থেকে সারাদেশে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
“যে বাঙালি জাতি অতিথিপরায়ণ হিসেবে সারা পৃথিবীতে পরিচিত, সেই দেশে বিদেশিরা এসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
এ ধরনের তৎপরতা রুখতে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা, জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন আরেফিন সিদ্দিক।