সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তারই দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন, যে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ব্যবস্থা নেবে বলে উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক সাহাদাৎ বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এ ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে।
“আমার প্রফেশনাল অর্জনে অনেকেই ঈর্ষান্বিত।এ কারণে বিভাগ থেকে পাস করে যাওয়া প্রাক্তন দুই শিক্ষার্থীকে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।”
১৬ বছর ধরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ‘সুনামের সঙ্গে’ শিক্ষকতা করছেন দাবি করে সাহাদাৎ বলেন, তার লেখা একটি বই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে রয়েছে।
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক ছাত্রী চিঠি দিয়েছিল, আমি উপাচার্য বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। এটা চেয়ারম্যান হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল। আরেক ছাত্রী সরাসরি উপাচার্য বরাবর জমা দিয়েছে।
“যেহেতু ছাত্রীদের বিষয়টি সেনসেটিভ, (তাই) এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।”
এর আগে বুধবার অধ্যাপক সাহাদাতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “বিভাগের দুইজন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এখন হাই কোর্টের আদেশ মোতাবেক গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী নির্যাতনবিরোধী সেলের নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”