গ্রন্থাগার ‘বাঁচাতে’ আলটিমেটাম জবি ছাত্রজোটের

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পরিসর কমিয়ে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের কাজ মঙ্গলবারের মধ্যে বন্ধের সময় বেঁধে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2016, 03:27 PM
Updated : 22 May 2016, 03:27 PM

রোববার দুপুরে গ্রন্থাগার সংকোচনের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি।

পরে এক সমাবেশে জগন্নাথ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মেহরাব আজাদ বলেন, “শতকরা ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারে না। ৯৮ দশমিক ৮ ভাগ শিক্ষার্থী ই-লাইব্রেরির সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

“সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে উল্টো এখন সিএসই বিভাগের ল্যাবরুম তৈরির অজুহাতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লাইব্রেরির বিশাল অংশ দখল করা হচ্ছে।”

শ্রেণিকক্ষ সংকট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ‘উদ্যোগহীনতার’ ফলে সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এ সংকটের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে। এর অজুহাতে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির স্থান সংকোচন মানা হবে না।”

তিনি মঙ্গলবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির যে অংশে দেওয়াল তোলা হয়েছে, তা অপসারণের দাবি জানিয়েছে বলেন, “অন্যথায় বুধবার লাইব্রেরির সামনে সর্বাত্মক অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকার সমাবেশ পরিচালনা করেন।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ঘুরে দেখা যায়, বই সংগ্রহের টোকেন প্রদানের অংশে আলাদা কক্ষ তৈরির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সেখানে দেয়ালও তোলা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রবেশপথ তৈরির কাজ চলছে।

গ্রন্থাগার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার রাখার দাবিতে গত বুধবার গত ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।