মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আধা ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে হালকা বৃষ্টির মধ্যে তাদের এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি চলে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একজন শিক্ষকের সঙ্গে এরকম অন্যায় আচরণ অনেক কষ্টের, অনেক অপমানের। স্যারের এত বড় অপমানে আমরা লজ্জিত, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
শুক্রবার ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে’ আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করে স্থানীয় জনতা। এক পর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান তাকে কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলার পাশাপাশি শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি উঠেছে। তবে ওই ঘটনায় কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটেনি দাবি করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেছেন, পুলিশের এক্ষেত্রে করার কিছু নেই।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম নোমান বলেন, “আমরা জানি, বিচার চেয়ে কোনো লাভ নেই; আমরা বিচার পাব না। তাই কানে ধরে আমরা স্যারের কষ্টটা অনুভব করার চেষ্টা করেছি, যদিও তা সম্ভব না। স্যারের প্রতি ক্ষমা চাইতে ও সহমর্মিতা জানাতে আমাদের এই কর্মসূচি।”