শনিবার সকাল ৯টার দিকে জগন্নাথ হল মাঠ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি ছাত্রী হলে দেবীর পূজা হয়।
এর মধ্যে জগন্নাথ হলের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪টি বিভাগসহ জগন্নাথ হল কমিটির পূজা হয়, যাতে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ভক্ত আর দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
এছাড়াও চারুকলা অনুষদের পূজাও জগন্নাথ হলের পুকুরে হচ্ছে। পুকুর মাঝখানের সাদা হাসের উপর বসানো হয়ে দেবী সরস্বতীকে।
তাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মণ্ডপে দেবীর প্রতিমা স্থাপন থেকে শুরু হয় পূজা আনুষ্ঠানিকতা। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়।
জগন্নাথ হল মাঠে সকাল ৯টার দিকে শুরু বাণী অর্চনা, যাতে পুরোহিতদের সঙ্গে ভক্তরা দেবী সরস্বতীর প্রণাম স্তুতি 'সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে' পাঠ করে দেবীর আর্শীবাদ কামনা করেন।
এরপর ভক্তরা দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেন। এসময় ভক্তদের হাতে অঞ্জলী ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
শিক্ষার্থী ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। তারই প্রেক্ষিত দেবীর সামনে 'হাতেখড়ি' দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা জগন্নাথ হলের উপাসনালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পূজা মণ্ডপে।
হলের শিক্ষার্থী রাজীব হালদার বলেন, “বাণী অর্চনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের মেলা। প্রতিবছর বিদ্যাদেবীর আবাহন কল্পে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই হল প্রাঙ্গণে সবাই মিলিত হয়ে থাকে। এ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার মিলন তীর্থ।”
জগন্নাথ হল ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হলেও হয়েছে দেবী সরস্বতীর পূজা।