কমিটি স্থগিতের পর ফের সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগ

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে আগের দিনের মারামারির জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করার এক ঘণ্টার মধ্যে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষের অনুসারীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2016, 03:59 AM
Updated : 10 Feb 2016, 03:59 AM

মঙ্গলবার গভীর রাতে এ সংঘর্ষের সময় সোহরাওয়ার্দী হলের অন্তত চারটি কক্ষে ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে হাটহাজারী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন জানান।

গত বছরের ২০ জুলাই কমিটি গঠনের পর সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীরা এ নিয়ে চতুর্থ বার সংঘর্ষে জড়াল।  

পুলিশ কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংঘর্ষের মধ্যে হলের ১১১ থেকে ১১৪ নম্বর কক্ষে ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।”

তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কাউকে আটকেরও খবর নেই।

“ওই হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সমর্থক মো. আরাফাতের জন্মদিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়ায় বলে আমরা জানতে পেরেছি,” বলেন ওসি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী এই সংগঠনের কার্যক্রম গত কয়েক বছর ধরেই শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক আধা ডজন ‘গ্রুপে’র দলাদলিতে বিপর্যস্ত। ‘সিক্সটি নাইন’ নামের বগিভিত্তিক একটি গ্রুপ সভাপতি টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর সাধারণ সম্পাদক সুজনের সমর্থকদের গ্রুপের নাম ‘বিজয়’।

আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় সোমবারও এ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়, তাতে অন্তত ছয়জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংঘর্ষে কারা জড়িত তা তিন দিনের মধ্যে জানাতে চবি ছাত্রলীগকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আমরা যথাযথ জবাব না পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।”

অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি টিপুর দাবি, কোনো নোটিস তিনি মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পাননি।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

জুলাইয়ে কমিটি গঠনের এক মাসের মধ্যে ২৫ অগাস্ট সোহরাওয়ার্দী হলের কক্ষ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষ। ওইসময়ও পুলিশসহ অন্তত সাতজন আহত হন।

এর তিন মাসের মাথায় ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভর্তিচ্ছুদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে আবারও সংঘর্ষ হলে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।