জগন্নাথে চূড়ান্ত পরীক্ষার পর ‘মিডটার্ম’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগে ‘নিয়ম ভেঙে’ চূড়ান্ত পরীক্ষার পর মিডটার্ম নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2016, 12:31 PM
Updated : 7 Feb 2016, 12:31 PM

যদিও চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই মিডটার্মসহ মূল্যায়নের নম্বর পরীক্ষা কমিটির কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে।

গণিত বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রায় দুই মাস পর।

বিভাগের অফিস কক্ষে গিয়ে জানা গেছে, ডায়নামিক্যাল সিস্টেম বিষয়ের কোর্সটি নিয়েছেন অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ। কোর্সটির চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। আর পুরো সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে ৩০ নভেম্বর।

কিন্তু গত ২৬ জানুয়ারি ডায়নামিক্যাল সিস্টেম কোর্সটির মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার অন্তত তিনটি কোর্সে ফাইনাল পরীক্ষার পর মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।”

মার্কেটিং বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষেরও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতায় দুই বছরের সেশনজটে পড়ে আছে গণিতের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হচ্ছে, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার আগে মিডটার্মসহ ইনকোর্সের নম্বর নোটিস বোর্ডে টাঙিয়ে দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা সেখানে কোন ভুল-ভ্রান্তি আছে কিনা তা দেখতে পারবে।”

তিনি আরও বলেন, “পরীক্ষা কমিটির কাছে নম্বর জমা হলেই তারা টেবুলেশনের কাজ শুরু করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস্ অ্যান্ড রেগুলেশনস্ অমান্য করা সমীচীন নয়। এটা করা যাবে না। আপনি বিষয়টি জানিয়েছেন, আমি কাল সকালেই বিষয়টি দেখব।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

পরীক্ষা কমিটির এই সভাপতি বলেন, “বিষয়টা আমি জানি না। আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ঠিক, কিন্তু আমি জানি না তিনি রেজাল্টটা দিয়েছেন কিনা। ওনার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে হবে। কারণ একজন কোর্স টিচার কখন পরীক্ষা নেয় এ বিষয়ের খবর নেওয়া অনেক সময় সম্ভব নয়।”

অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্ন শুনে ফোন রেখে দেন।