সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আলোচনা অনুষ্ঠানে নুজহাত এ দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে নুজহাত বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ১০০ নম্বরের দাবি করছি আমি এই বুদ্ধিজীবী দিবসে। ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আলাদা একটি সাবজেক্ট করুন। প্রতিটি যোদ্ধা, বুদ্ধিজীবীর নাম তারা মুখস্থ করবে। কোন নীতি যেন তাদের জয় বাংলা থেকে স্বাধীন বাংলা থেকে সরিয়ে দিতে না পারে।”
মাদ্রাসা শিক্ষাকে তদারকির দাবি করে নুজহাত বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষাকে সুপারভিশনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তাদের অর্থনৈতিক লেনদেন অডিটের আওতায় আনা প্রয়োজন।”
“আমাদের সিলেবাসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ১০০ নম্বরের থাকবে না কেন? আদর্শকে আদর্শ দিয়ে ফাইট করতে হবে। আমরা যদি জঙ্গিবাদী আদর্শকে ফাইট করতে চাই, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে ফাইট করতে হবে।”
এসময় বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, “বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলবদর প্রধান মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। কীভাবে এই নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাব, জানি না। প্রতিটা মানুষ আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।”
“এত গর্ব, এত আশার মধ্যে শঙ্কা কাজ করে। আমার ভয় হয়। আমাদের আদর্শের সংগ্রামে আমরা পিছিয়ে পড়ছি কিনা। আমাদের শত্রুরা অনেক সংঘবদ্ধ। ওরা নিষ্ঠুর, ওদের মগজ ধোলাই করা। আমাদের কতল করে তারা মনে করছে পরকালে বেহেশতে যবে। এত ভ্রান্ত তাদের ধারণা। তারা নিষ্ঠুর, তাদের মধ্যে মানবতার কিছু নেই। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কিছু নেই।”
নুজহাত বলেন, “আমরা আদর্শ চর্চা করছি কিনা, মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতির ওপর আছি কিনা, অসাম্প্রদায়িতক-প্রগতিশীল একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চাচ্ছি কিনা, আমাদের তরুণরা কি স্লোগান সর্বস্ব হচ্ছে, নাকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে। একটু ভেবে দেখতে হবে।”