শিক্ষকরা অনমনীয় হলেও শুক্রবার অনুষ্ঠেয় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার শিক্ষা পর্ষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন উপাচার্য।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে আপত্তি জানিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের সমিতির মোর্চা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতারা মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও দাবি আদায়ে অনড় থাকার কথা জানান।
এর একদিন বাদেই বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জরুরি সাধারণ সভায় ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়।
আগামী ৯ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর সূচি রয়েছে। ১৬ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিট, ৩০ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিট, ৬ নভেম্বর ‘ডি’ ইউনিট এবং ১৩ নভেম্বর ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা।
শিক্ষক সমিতি একদফা বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানালে উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান শুক্রবারের পরীক্ষা নিতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এরপর আবার বৈঠকে বসে শিক্ষক নেতারা, তবে তাদের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী নূর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য আমাদের পরীক্ষা নিতে বলেছিলেন। পরে আমরা আবার বৈঠক করি, কিন্তু শিক্ষকরা অনমনীয়।
“আমাদের আর কোনো সিদ্ধান্ত নেই। আগামী শুক্রবার আমরা পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তা প্রশাসন বলতে পারবে।”
শিক্ষকদের বর্জনের ফলে পরীক্ষার বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে উপাচায অধ্যাপক মীজানুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবারের পরীক্ষা হবে, স্থগিত করা হয়নি।
“আর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল সকাল ১০টায় একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা আহ্বান করেছি।”
‘বি’ ইউনিটে ৭২০ আসনের বিপরীতে ৪০ হাজার ৬৩৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের এখন পরীক্ষার দুদিন আগে দুর্ভাবনার পরিস্থিতি তৈরি হল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে মর্যাদা পুনর্নির্ধারণ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ভর্তি পরীক্ষা বর্জনের কোনো ঘোষণা এখনও দেয়নি। তবে দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা রয়েছে তাদের।
ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের আগেই বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আলী নূর বলেন, “এটা আমাদের একক সিদ্ধান্ত।”
এদিকে এই সিদ্ধান্তের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।