ফের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবে শিক্ষার্থীরা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রোববার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2015, 07:21 PM
Updated : 2 Oct 2015, 07:21 PM

শুক্রবার বিকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংহতি সমাবেশ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে খালেদ সাইফুল্লাহ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে একই দাবিতে শনিবার  সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, আলোকচিত্র ও ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনীর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেছে ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ এবং ‘প্রশ্ন ফাঁসে’ জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের  দাবিতে ওই সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, বুয়েটের শিক্ষক হাসিব চৌধুরী, কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, প্রগতিশীল চিকিৎসক ফোরামের আহ্বায়ক মুজিবুল হক আরজু, ডা. ফয়জুল হাকিম ও  ভাস্কর রাশাসহ অনেকে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

ফের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ইউজিসি কর্মকর্তা হত্যার পেছনে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য রয়েছে; রাঘব বোয়ালরা এর সঙ্গে জড়িত। মৃত ইউজিসি কর্মকর্তা র‌্যাবের কাছে যে বক্তব্য রেখেছেন শিগগির তা জাতির সম্মুখে তুলে ধরতে হবে। ”

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ওমর সিরাজ শুক্রবার মারা যান। হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যুর জন্য র‌্যাবকে দায়ী করছেন তার স্বজনরা।

সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “শুধু ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ নয়, এর সঙ্গে জড়িত সকলকে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ জাতীয় কাজ করার সাহস না পায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপসংস্কৃতি রুখে দিতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৩ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮ হাজার ৪৪৮ জনকে যোগ্য ঘোষণা করে ফল ঘোষণা করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর।

পরদিন থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করে মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একাংশ।