বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ওহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের মোট দুই হাজার ৭৬০টি আসনের বিপরীতে এই শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছেন।
“এই হিসেবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আসনের জন্য ৬৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিদ্ধন্ধিতা করবেন। ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত ২৯ অগাস্ট থেকে সারাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আবেদন শুরু করে।
১৭ সেপ্টেম্বর আবেদন করার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর শুক্রবার প্রতি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী সংখ্যার এই হিসেব প্রকাশ করা হল।
নিবন্ধক ওহিদুজ্জামান বলেন, এই শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ৭৬০ আসনের বিপরীতে ৫৭ হাজার ৭০৩ জন, ‘বি’ ইউনিটের ৭২০ আসনের বিপরীতে ৪০ হাজার ৬৩৪ জন এবং ‘সি’ ইউনিটের ৬২০ আসনের বিপরীতে ৩৪ হাজার ৬৮৮ জন শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে।
এছাড়া ‘ডি’ ইউনিটে ৫৬০ আসনের বিপরীতে ৪৯ হাজার ৯৩০ জন এবং ‘ই’ ইউনিটে ১০০টি আসনের বিপরীতে দুই হাজার ১২৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন।
আগামী ৯ অক্টোবর ‘বি’ ইউনিট, ১৬ অক্টোবর ‘সি’ ইউনিট, ৩০ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিট, ৬ নভেম্বর ‘ডি’ ইউনিট এবং ১৩ নভেম্বর ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি পরীক্ষা নির্ধারিত দিন বিকাল ৩টায় শুরু হবে।
এদিকে আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা jnu.teletalk.com.bd অথবা jnu.ac.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিট, ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিট, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিট এবং ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ‘ই’ ইউনিটের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
নিবন্ধক ওহিদুজ্জামান আরও বলেন, ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টায় মোট ৭২টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া হলে ১ নম্বর করে পাওয়া যাবে।
তবে শিক্ষার্থীরা ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর পাবেন না এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা হবে।
এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটরসহ ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী আনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।