বৃহস্পতিবার শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরুর পর পুলিশি বাধায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সামনে এই শপথ পাঠ করেন তারা।
শপথ বাক্য পাঠ করান ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশনের’ প্রধান ইউল্যাবের শিক্ষার্থী ফারহান হাবিব।
শপথ বাক্যে ছিল- “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের মা, আপনি আমাদের দাবি মেনে নিন। আপনি সেই কাজ করবেন না, শিক্ষা ওপর ভ্যাট একটা খুনের সমান। আপনি আমাদের খুন করবেন না।”
চলতি অর্থ বছরের বাজেটে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে সরকার।
ভ্যাট বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শাহবাগে জড়ো হয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’।
প্রথমে শাহবাগ মোড় ব্যারিকেড দিয়ে শিক্ষার্থীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। মিছিলকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় পেরিয়ে গেলে বিএসএমএমইউর সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তারা সুশৃঙ্খলভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ করেছে।”
মিছিল শুরুর আগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ ব্যানারে সমাবেশ করেন এই শিক্ষার্থীরা।
ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন মিঠু বলেন, “সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট-রুয়েটে আসন সীমিত, কিন্তু আমাদের পড়তে হবে, সুশিক্ষিত হতে হবে। কিন্তু টাকা বিনিময়ে আমরা শিক্ষিত হতে চাই না।”
চট্টগ্রামে মুখোশে প্রতীকী প্রতিবাদ
ভ্যাট বাতিলের একই দাবিতে চট্টগ্রামে মুখোশ পরে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়মবহির্ভূত নানা ফি আদায়ের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “তার উপর আবার ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করে সরকার প্রকারান্তরে ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ নীতি বাস্তবায়ন করছে।”
২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অমুনাফাভিত্তিক খাত জানিয়ে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অজয় দাশ বলেন, “সে অনুযায়ী এ ভ্যাট আরোপ আইনবহির্ভূত। অবিলম্বে এ ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিতে হবে।”
ভ্যাট অব্যাহত থাকলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ে পড়া কঠিন হয়ে পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাঁধের উপর থেকে এ খড়গ তুলে নিন।”