‘কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে এমএলএম প্রতারণা চলছে’

লাইসেন্স বাতিল হলেও পাঁচটি বহুস্তর বিপণন (এমএলএম) প্রতিষ্ঠান হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 10:30 AM
Updated : 6 July 2015, 10:30 AM

সোমবার জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, “মন্ত্রণালয়, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, বাছাই করলাম। লোকগুলি কোর্টে গেল, স্টে হলো। ফলশ্রুতিতে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে।

“কিভাবে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়, সেটা জানানোর জন্যই আমি বিবৃতি দিচ্ছি।”

আদালতের আদেশ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া এমএলএম প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সতর্ক থাকতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

এমএলএম সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন ও বিধিমালা জারির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “২৭টি কোম্পানির আবেদন জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে জমা পড়ে। যাছাই-বাছাই ও সরেজমিন তদন্ত করে পাঁচটি কোম্পানিকে লাইসেন্স প্রদান করে। এগুলো হলো- এমএক্সএন মর্ডান হারবাল ফুড লিমিটেড, রিজ বিজনেস সিস্টেম লিমিটেড, স্বাধীন অনলাইন পাবলিক লিমিটেড, ওয়ার্ল্ড মিশন ২১ লিমিটেড এবং জার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড।”

আইন প্রণয়নের পর লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সন্তোষজনক না হওয়ায় চারটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাতিল করা হয়েছে। আর একটি নবায়নের আবেদন না করায় অটোমেটিক বাতিল হয়ে গেছে।”

তোফায়েল বলেন, যেগুলো জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে আবেদন করে লাইসেন্স পায়নি সেগুলো মন্ত্রণালয়ে আপিল করে। আইনের আওতায় যাচাই করে আপিলগুলোও নাকচ করা হয়।

“উল্লেখ্য যে, মন্ত্রণালয় কর্তৃক আপিল আবেদন বাতিল করে অধিকাংশ কোম্পানি মহামান্য হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার মানে হাইকোর্টে গেছে, রিট করেছে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে, আমাদের সিদ্ধান্তকে স্টে করেছে।

“এখন লাইসেন্স নাই, মন্ত্রণালয় লাইসেন্স দেয় না। কিন্তু তারা হাইকোর্টের রিটের সুবিধা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে নিরীহ সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে। অতি সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মন্ত্রণালয় স্টে খারিজ করার চেষ্টা করছে।

“যারা এখনও ব্যবসা করছে অন্যায়ভাবে, ইলিগ্যাল। কিন্তু হাইকোর্টের দ্বারা স্থগিত হওয়ার পরে... এই হাইকোর্ট সম্পর্কে আমার বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। মাননীয় প্রধান বিচারপতি বলেছেন, অহেতুক সমলোচনা না করতে। এখানে কোনও সমালোচনা না।”

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। যেই কারণে আমি এখানে বিষয়টি উত্থাপন করেছি।... আশা করি দেশের মানুষ এদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে।”